ঢাকা , শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫ , ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বদরগঞ্জে দপ্তরী বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের মুঠোফোনে অশালীন ভিডিও দেখানোর অভিযোগ।


আপডেট সময় : ২০২৫-০৮-০৭ ১৮:৪৯:৪৬
বদরগঞ্জে দপ্তরী বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের মুঠোফোনে অশালীন ভিডিও দেখানোর অভিযোগ। বদরগঞ্জে দপ্তরী বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের মুঠোফোনে অশালীন ভিডিও দেখানোর অভিযোগ।
 
রানা ইসলাম বদরগঞ্জ রংপুর।  
 
রংপুরের বদরগঞ্জে শংকরপুর ঝাড়পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের মুঠোফোনে অশালীন ভিডিও দেখানোর অভিযোগ উঠেছে। 
 
এঘটনায় বিদ্যালয়ের একজন অভিভাবক সদস্য উপজেলা নির্বাহী অফিসে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
 
লিখিত অভিযোগ ও প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, উপজেলার কালুপাড়া ইউনিয়নে  শংকরপুর ঝাড়পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী পদে রবিউল ইসলাম স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রীদের উত্যক্ত করে আসছে। তিনি সুযোগ পেলে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীদের কাছে ডেকে নিয়ে তার মোবাইল ফোনে অশ্লীল ভিডিও দেখাতে বাধ্য করেন।  কিন্তু সম্মানহানীর ভয়ে পিয়নের অনৈতিক কার্যকলাপে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের পাঠদানে বিঘ্ন ঘটছে। এমনকি অভিভাবকগন তাদের  ছেলে মেয়েদের  বিদ্যালয়ে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন। 

উন্মে হানি নামে এক পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী বলেন, পিয়ন রবিউল ইসলাম একজন লম্পট প্রকৃতির ছেলে। তিনি আমাদের খারাপ খারাপ ভিডিও দেখান। আমরা তার শাস্তি চাই।
 
আজমীর সরকার নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, রবিউল চাচ্চু আমাদের প্রথম শ্রেণীর রুমে নিয়ে যে অশালীন ভিডিও দেখান। এবং অশালীন অঙ্গ ভঙ্গিমা করেন।
 
ফেন্সিয়ারা নামে এক অভিভাবক বলেন, পিয়ন রবিউল এতটাই প্রভাবশালী যে, সব কিছু জানার পরেও কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পায়না। তাই তিনি দিনে দিনে আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। যারফলে তার হাতে কোন ছাত্রীই নিরাপদ নয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
 
নুরনাহার নামে আরেক অভিভাবক বলেন, আমরা পিয়নের রবিউলের চাকরি থেকে সাসপেন্ড চাই। তা নাহলে আমাদের বাচ্চাদের বিদ্যালয় পাঠাবো না। 
 
নাম প্রকাশ না করার অনিচ্ছুক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষিকা বলেন, রবিউল দপ্তরী পদে যোগদান পর থেকে নিজেকে সরকারি বড় অফিসার ভাব দেখান। তার পদটি পরিছন্নতা পদ থাকলো তিনি অফিসের কোন পরিস্কার জ কাজ করেনা। তিনি একজন লোক ভাড়া করে নিয়ে এসে বিদ্যালয়ে পরিস্কার পরিছন্নতার কাজ করেন। এছাড়াও শিক্ষকরা কোন কাজ করতে বললে রবিউল শোনেন না। 

এবিষয়ে প্রধান শিক্ষিকা মাহামুদা খাতুন বলেন, পিয়ন রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে অনেক শিক্ষার্থী অভিভাবক অভিযোগ করেছে। তাদের অভিযোগ এই বিদ্যালয়ে রবিউল থাকলে তারা তাদের ছেলে মেয়েদের বিদ্যালয়ে পাঠাবেনা। বলা যায়, আমরা এখন অনেকটাই বেকায়দায় পড়েছি। কারন শুধু শিক্ষার্থীরাই নয়, ওই পিয়নের দ্বারায় আমরা শিক্ষিকারাও নিরাপদ নই।

এরপর অভিযোগকারী ওই বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি আফজাল হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের পিয়ন একজন চরিত্রহীন ব্যক্তি। তিনি শুধু শিক্ষার্খীদের শ্লীলতাহী করেই ক্ষান্ত হননি। গত ৫বছর পুর্বে তিনি বিদ্যালয় এলাকার জনৈক নজরুল ইসলামের স্ত্রী রোজিনার সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে অবশেষে তাকে বিয়ে করতে বাধ্য হন। আমরা এখন তার যথাযথ শাস্তি কামনা করছি।
 
এবিষয়ে অভিযুক্ত পিয়ন রবিউল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আমার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট। একটি মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। 

পিয়নের অপকর্মের বিষয়ে সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোছাঃ লাজিজা বেগম বলেন, ঘটনাটি আসলেই দুঃখজনক। তদন্ত করে এর সত্যতা পাওয়া গেলে পিয়ন রবিউলের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 
এবিষয়ে বদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, ঘটনাটি জানার পর বিষয়টি জেলা শিক্ষা কর্মকতাকে জানানো হয়েছে। তিনি তিন সদস্য একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। তদন্ত কমিটি হাতে পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্হা প্রদান করা হবে। 




 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ